দুর্দান্ত মেরিন…

1042

শুভ্র সুহৃদ।।


চটপটে সুন্দর চাহনি। তাকালে জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠে চোখদু’টি। যেনো টেনে নিয়ে যায় খুব গভীরে। ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা মিষ্টি হাসিটাও মন ভুলিয়ে দেয় খানিকের জন্য। আর চলন? সমান্তরাল দুরত্ব রেখে একটার পর একটা পা যখন স্টেজের মেঝে মাড়ায়,তখন তো চোখ ফেরানোই দায়। হাজারো চোখ স্থির হয়ে থাকে র্যা ম্প মডেল সাবিকুন নাহার মেরিনের দিকেই। সাবলিল পারফর্মার মেরিনও সবাইকে মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলে আসেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে।

এমন ‘পারফেকশনিস্ট’ কেমন করে হলেন- মেরিনের সামনে যখন এ প্রশ্ন তখন উত্তরটাও কী হতে পারে? এক চিলতে ‘মন ভোলানো হাসি’।

গ্ল্যামার গার্ল মেরিন
গ্ল্যামার গার্ল মেরিন

‘এখন’-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় র্যা ম্প মডেল মেরিন জানালেন তার এ পথে আসার গল্প। ‘ছোট বেলায় করতাম টিভি প্রোগ্রাম। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে আড়ষ্টতা কেটে গেছে অনেক আগেই। নানা শো নিয়ে বিজি থাকতাম। কিন্তু একসময় নিজেকে আবিস্কার করি মডেলিংয়ের কাতারে। কখন যে মডেল হয়ে গেছি, সেটা নিজেও খুব একটা টের পাইনি’- এমন করেই বললেন মেরিন।

মেরিনের ব্যস্ততা এখন মডেলিং নিয়ে। জাঁকালো আলোর ঝলকানিময় স্টেজেই দেখা মেলে তার। কখনো সখনো ফ্যাশনের চকচকে ম্যাগাজিনেও পাওয়া যায় দুর্দান্ত এ মডেলকে। আর দেশসেরা ফ্যাশন হাউসগুলোর সঙ্গেতো মেরিন যেনো ঠিক লেপ্টে আছে।

দ্যুতি ছড়ানো মেরিন
দ্যুতি ছড়ানো মেরিন

ইতোমধ্যে আম্বার লাইফস্টাইল, নিখুঁত ক্রাফট, মেহবজাবিন হাউসের মতো প্রতিষ্ঠানের মডেল হয়েছেন মেরিন। সেইসঙ্গে ফ্যাশন ম্যাগাজিস পেইজেস, আনন্দ ভুবনসহ অনেকগুলোর পত্রিকার পাতা জুড়ে স্থান হয়েছে তার।

মডেলিংয়ে নাম কুড়ালেও মেরিনের ভবিষ্যত ইচ্ছা কিন্তু ভিন্ন। নিজেকে দেখতে চান ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। ইতোমধ্যে সে পথের অলিগলি সব নিয়ে আসছেন নখদর্পনে।

মডেল মেরিন
মডেল মেরিন

মেরিন বলেন, “ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া আমার ড্রিম। আমি চাই দেশসেরা ফ্যাশন ডিজাইনার হতে। তবে মডেলিং আমার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেকখানি হেল্প করছে।”

ইদানিং মডেলিং, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেল ‘ক্রেজার্স প্রোডাকশন’ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে মেরিনের। কাছের ১০ বন্ধু মিলে এ চ্যালেনটি তৈরি করেছেন তিনি। আর সে চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করতে নানারকম ভাবনা, পরিকল্পনা ও শুটিং নিয়েই মেতে থাকেন এ মডেল। এতো নাম থাকতে ‘ক্রেজার্স’ কেন- এমন প্রশ্নের উত্তর যেনো আগে থেকেই তৈরি ছিল মেরিনের। সোজাসাপ্টা বলে দিলেন-“আমরা কাজ করতে করতে তো এমনিতেই পাগল হয়ে গেছি। এইবার আমাদের কাজ দিয়ে দর্শক দের পাগল করার পালা।” কথা শেষ করার আগেই মেরিনের মুখে ঝড় তুললো তার দুর্দান্ত হাসি।

এতো কিছু একসঙ্গে কীভাবে? প্রশ্নটা ছুঁড়তেই গ্লামার গার্ল মেরিনের সরাসরি উত্তর, “ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলতেও বাধা থাকবে না কোনো।”

এখন/এসএস