‘দুদকে দুর্নীতির অভাব নেই’

690

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভেতরে দুর্নীতির খাতের অভাব নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।

রোববার বিকেলে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষ আয়কর মেলা ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ৮ নভেম্বর আয়কর বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে দুদকের করা রিপোর্ট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “এবিষয়ে আমি দুদকের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। দুদকের এমন দুর্নীতির অনেক ক্ষেত্র আছে।”

তিনি আরও বলেন, “সকলেরই দুর্নীতি আছে। সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন কম হলেও এটা দুর্নীতি হয়। তবে নতুন বেতন কাঠামো গঠন করার পর দুর্নীতি অনেক কমেছে।”

দুদক যদি শুধুমাত্র কর ও কাস্টমস অফিসকে টার্গেট করে কাজ করে ও এখানে অফিস স্থাপন করার চিন্তা করে তাহলে আমি বলবো এটা দুদকের পক্ষে কোন দিনই সম্ভব হবে না। কারণ আয়কর ও কাস্টমস আইনে না চাইলে এখানে কারো পক্ষে অফিস স্থাপন করা সম্ভব নয়।

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান বলেন, “এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে সার্টিফিকেট লাগবে না। নির্বাচন কমিশন যে ঘোষণা দিয়েছে এরপর আমার আর কিছু বলার নেই।”

তবে নির্বাচনের পর কোন কর খেলাপী যাতে প্রার্থী না হতে পারেন সে বিষয়ে এনবিআর পদক্ষেপ নিবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পয়েজনে আইন করবে।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে যে সকল জনপ্রতিনিধি (ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ) ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন তারা আয়কর রিটার্ণ দাখিল করে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনগুলোর সাথে করদাতা বাড়াতে আলাপ-আলোচনা চলছে।”

এদিক গত ৮ নভেম্বর আয়কর বিভাগের দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে ২৩ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশের একটি পত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবর পাঠিয়েছে দুদক। ওই পত্রে আয়কর বিভাগে দুর্নীতির কারণ হিসেবে ১৩ উৎস দেখানো হয়েছে।