দিল্লিতে রাজনাথ ও সুষমার সঙ্গে এরশাদের বৈঠক

946

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান ঠিক করতে এবার দিল্লির দ্বারস্থ হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জানালেন তার দলীয় অবস্থান।

তিনি বলেছেন, কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচনে বিএনপি না এলে সংসদে এককভাবে বিরোধীদল হবে অথবা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে প্রভাবশালী শরিক হবে জাপা।

নয়াদিল্লির বিশেষ আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সফরে গত রোববার থেকে ভারত রয়েছেন এরশাদ। এরই মধ্যে তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। দুই বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।

সোমবার সুষমা স্বরাজের সঙ্গে এরশাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আখতার।

রোববার বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনে জাপার অবস্থান সম্পর্কে রাজনাথ সিংকে ব্যাখ্যা করেছেন এরশাদ। বৈঠকটি রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লিগ ও বিএনপির কাছে তার দলের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনী কৌশল পাল্টাবে। তা না হলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য লড়াই করবে।

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না- এই দাবি করে এরশাদ বৈঠকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যেমন পারবে না, তেমন বিএনপিও এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে না। এ অবস্থায় তার দলের আসন বাড়বে। এতে সরকার গঠনের সময়ও জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেক্ষেত্রে কৌশলী হবে জাপা।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘন ঘন ভারত সফরের পর এরশাদের আগমন ঘিরে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে কয়েকবার নয়াদিল্লি সফর করলেও তার এবারের সফর তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, জাপা আগামী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে বিএনপিবিহীন জাতীয় সংসদে একমাত্র বিরোধীদল হিসেবে আবির্ভূত হতে চায় দলটি।