দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩৩০ বানের বড় সংগ্রহ

669

 

মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে বিশাল রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের পর শেষে ব্যাটে জড় তুলেন মাহামুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। তাদের তাণ্ডবের ৩৩০ রান সংগ্রহ করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে টাইগাররা।

শুরু সাকিব-মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং করেন। দুইজনই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু ৭৫ ও ৭৮ রানে ফেনের সাকিব ও মুশফিক। আর শেষে মাহামুদুল্লাহ ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আর মোসাদ্দেকও জ্বলে উঠেন। ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান।

রোববার ইংল্যান্ডের ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং নামে বাংলাদেশ। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনার করে টাইগাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল।

চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করেন তামিম।

কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।

দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য সরকার। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।

উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে জমা পড়ে। সামনে পড়া বলটিকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন ডি কক।

সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন সৌম্য সরকার।

দলীয় ৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।তৃতীয় উইকেটে তাড়া ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআইট ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৪ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

সাকিব আউট হলেও অবনদ্য ব্যাটিংয়ে করেন মুশকিক। আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক।