তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

997

নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

৫০ হাজার স্কয়ার ফুট এলাকাজুড়ে ৫ তলা অত্যাধুনিক এ রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘরটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া সব রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী, গুরুত্বপূর্ণ দেশি ও বিদেশি সম্মানাও এখানে সংরক্ষণ করা হবে।

দেশে-বিদেশে পাওয়া সব উপহার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের উপহার রাষ্ট্রের সম্পত্তি এবং এগুলো দেশের সম্মান ও মর্যাদা বহন করে। সুতরাং এগুলো খুব ভালো ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।”

বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলে বিভিন্ন উপহার ও দুর্লভ ছবি নষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো সংরক্ষণে তোশাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে তোশাখানা আইন প্রণীত হয় এবং বঙ্গভবনে এটি নির্মাণ করা হয়।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় তোশাখানার জন্য আলাদা ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং তার নির্দেশনায় বিজয় সরণির এই তোশাখানা জাদুঘরটি নির্মিত হয়। যেখানে সর্বসাধারণের দেখার সুযোগ থাকবে রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং রাষ্ট্রের সম্মান ধরে রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, সম্মানও দিয়ে গেছেন। আমাদের সে সম্মান ধরে রাখতে হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, কূটনীতি কোরের সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।