ঢাকায় চলন্তবাসে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, গেপ্তার ১

834

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বাসের চালক ও হেলপারের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন ওই তরুণী। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের স্লুইসগেট পাইকারি কাচাঁবাজার এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় শ্লীলতাহানি ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ওই তরুণীর চাচা। মামলায় প্রেক্ষিতে ওইদিন বিকালেই অভিযুক্ত বাস চালক মো. রাসেল ভুইয়াকে (২০) গ্রেফতারসহ ‘আসমানী পরিবহন’ (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৩২৮) বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে মামলার অপর আসামি হেলপার মো. মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পশ্চিম থানার এসআই মো. মাহমুদুর হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই তরুণীর জবানবন্দির ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলার আসামি বাসচালককে গ্রেফতার করা ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

তিনি জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালককে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও ওই তরুণী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই তরুণী (২৫) রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে তার খালার বাসা থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে আসমানী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৩২৮) একটি বাসে ওঠে। পরে গাড়ির মধ্যে ওই তরুণী ঘুমিয়ে পড়েন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কারো হাতের স্পর্শে তার ঘুম ভাঙলে তিনি দেখতে পান বাসের চালক-হেলপারসহ আরও কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেছে। পরে তার কাছ থেকে মোবাইলফোন ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর পর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন। এতে তিনি মাথা, হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত পান।’

এদিকে, তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউন জানান, গ্রেফতার আসামি রাসেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চলছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে।