জাতীয় লিগে লিটনের ঝড়ো ডাবল সেঞ্চুরি

781

জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে অলআউট হওয়ায় রাজশাহীর রানপাহাড়ে চাপা পড়েছিল রংপুর বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই দলটিকে টেনে তুলেছেন ডাবল সেঞ্চুরি করা লিটন কুমার দাস। বুধবার তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের সংগ্রহ ৩১৯। রাজশাহীর থেকে তারা পিছিয়ে ১১৯ রানে।

টায়ার-১’র ম্যাচে রাজশাহী আগের দিন ৪১৯ রানে থামার পর বুধবার সকালে ৫৮৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। মঙ্গলবার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৭৩) এবং মিজানুর রহমান (১৬৫)। এদিন ইনিংস ঘোষণার সময় জুনায়েদ সিদ্দিকি ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ফরহাদ হোসেন (৬২) এবং জহুরুল ইসলামও (৫৫)।

লিটন কুমার এদিন ৮১ বলে শতকে পৌঁছান। ১৫০’এ পা রাখেন ১০৮ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন ২০৩ রানে। ১৪২ বলে ৩২টি চার, চারটি ছয়ে এই রান করেন। গত ২৬ এপ্রিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা ২৭৪ রানের ইনিংসের পথে লিটন ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ১৯০ বলে। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দুইশ বলের নিচে ডাবল ছোঁয়ার একমাত্র কীর্তি ছিল সেটি। বুধবার তিনি ডাবল স্পর্শ করেন ১৪০ বলে।

এছাড়া টায়ার-১’র অন্য ম্যাচে খুলনায় বৃষ্টিস্নাত দিনে বরিশালের বিপক্ষে ৫০ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা খুলনা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ৩৪৯। খুলনার শুরুটা ভালো না হলেও শেষদিকে ১১২ রানের ইনিংস খেলে দলকে পথে রাখেন জিয়াউর রহমান। টস হেরে বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে ২৯৯ রানে অলআউট হয়। শাহরিয়ার নাফীস ৪১ করার পর মিডলঅর্ডার ভেঙে পড়ে। শেষদিকে নুরুজ্জামান ৭৪ করে স্কোর বড় করেন। তিনটি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাক।

খুলনা জবাব দিতে নেমে ৭২ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দলকে লড়াইয়ে ফেরান মোহাম্মদ মিঠুন। ১২৪ বলে ৭২ রান করেন তিনি। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে দারুণ লড়াই করেন জিয়া। আফিফ ১৩২ বল খেলে ৮১ রানে নটআউট আছেন। জিয়া মোসাদ্দেকের বলে আউট হওয়ার আগে ২৪৬ বলে ১৩টি চার এবং একটি ছয়ে ১১২ রান করেন।