প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “দেশের জনগণের ভাগ্য গড়া আমার দায়িত্ব। আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সুতরাং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে আমি আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নতুন শপথ নেয়া জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুতরাং জনগণের চাওয়া বুঝতে হবে। কীসে জনগণের কল্যাণ সেটা অনুধাবন করতে হবে। জনগণের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, যে ভোট তারা আপনাদের দিয়েছে, তার বিনিময়ে আপনি যত দিন থাকবেন (ক্ষমতায়) তাদের কী দিতে পারলেন, সেই হিসাবটা করতে হবে। আমরা সরকার গঠনের পর নানাবিধ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বরিশাল খ্যাত ছিল শস্যভাণ্ডার নামে। এই নামটি একসময় হারিয়ে যায়। আমরা আসার পর ফসলের উৎপাদন বাড়াতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। কিন্তু তার অবর্তমানে নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ নানারকম চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর অবহেলিত কোনো দেশ, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় এনেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল প্রায় ১০ বছর সরকারে রয়েছি। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দিনবদলের সনদ। আজকে বাংলাদেশে মানুষের জীবনে সত্যি পরিবর্তন হয়েছে এবং দিনবদলের যাত্রা শুরু হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা দারিদ্র্য ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আগে যা ছিল ৪০ ভাগ। আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা যারা রাজনীতি করি, শুধু নিজের ভাগ্য গড়া নয়, নিজেদের আর্থিক সচ্ছলতা নয়; দেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ কী পেল, তাদের ভাগ্য কতুটুকু পরিবর্তন হয়েছে সে লক্ষ্য হতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘‘আমরা সরকারে আসার পর সেই চেষ্টাটাই করেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, দিনবদলের পালা শুরু হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।’’
