গৃহ নির্মাণে সরকারি কর্মচারীরা কম সুদে ঋণ পাবে

695

সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণে কম সুদে ঋণ দিতে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও চার ব্যাংকের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ চুক্তিতে ওই কর্মচারীরা গৃহ নির্মাণে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে। সমঝোতা স্মারক সই করা ওই ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ এবং বাস্তবায়নকারী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এর আগে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে গত ৩১ জুলাই নীতিমালা জারি করে অর্থ বিভাগ।

চুক্তি অনুসারে, আগামী দুই মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা ঋণ সুবিধা পাবেন। দেশের যে কোনো জায়গায় গৃহনির্মাণ, জমিসহ তৈরি বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনায় এই ঋণ পাবে। তবে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। কিন্তু ১০ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার এবং বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল হবে সর্বোচ্চ ২০ বছর।

তবে গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের জন্য আবেদনকারীর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি অবশ্যই স্থায়ী হতে হবে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু ও দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, ঢাকা মহানগরী, সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদর, জেলা সদর এবং অন্য এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চসীমা পঞ্চম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তার জন্য যথাক্রমে ৭৫ লাখ, ৬০ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা, নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৬৫ লাখ, ৫৫ লাখ ও ৪৫ লাখ টাকা, ১৩তম থেকে দশম গ্রেডের জন্য ৫৫ লাখ, ৪০ লাখ ও ৩০ লাখ টাকা, ১৭তম থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য ৪০ লাখ টাকা, ৩০ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকা, ২০তম থেকে ১৮তম গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৩৫ লাখ টাকা, ২৫ লাখ টাকা ও ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়।