‘খালেদা-তারেক ছাড়া নির্বাচন নয়’

579

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে দলটির নেতারা।

তারা বলেছেন, বিএনপিকে ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। শীর্ষ দুই নেতাকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। রোববার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে এ উদ্বেগের কথা জানায়।

সাক্ষাত শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আসলে হয়না। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আরও কিছু নিরীহ মানুষকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেরকম কোনো কিছু হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, যে প্রয়োজন, সেটা বিঘ্নিত হবে। সেজন্য আমরা আশা করি যে, সেরকম কিছু হবে না। আমরা সবাই মিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারব।

সাক্ষাতে সিইসি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা জানি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নাই। সম্ভবত দোয়া করা ছাড়া কিছু করার নাই। কিন্তু একটা জিনিস আমরা আলোচনায় অনুভব করেছি যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে যেন বাধা সৃষ্টি করতে পারে এরকম কিছু যেন না হয় সে ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, ভাবনা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের রয়েছে।

আমরা বলেছি যে, সরকারের যে চক্রান্ত দেখছি সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে প্রচণ্ড বাধা হবে। সে ব্যাপারে একমত হয়ে সিইসি আমাদের বলেছেন, নিশ্চয়ই বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বা জনাব তারেক রহমানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার জন্য যদি অন্যায়ভাবে চেষ্টা করা হয় তাহলে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নিবে এটা মূর্খ ছাড়া কেউ ভাববে না।

সিইসি কোনো আশা দিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি। এখনও তারা সে বিষয়ে আগ্রহী। আমরাও বলেছি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে আমরা নির্বাচন করতে চাই না। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা আছে কিনা- সেটা জানি না। সময়ই বলে দেবে। আমরা আশা করি নৈতিক অবস্থান থেকে নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ভূমিকা নেবে।