কুবিতে অনুস্বার’র আয়োজনে বুক রিভিও আয়োজিত

818

 

কুবি প্রতিনিধি:

‘স্বদর্পণে প্রিয় বই’- স্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘বুক রিভিও প্রতিযোগিতা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য সংগঠন অনুস্বারের ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

সংগঠনের সহ-সভাপতি হিমেল দেবনাথের সঞ্চালনা ও সভাপতি শতাব্দী জুবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিচারক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ মাওলা; ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. আকবর হোসেন; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুস্বারের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য জান্নাতুন নিসা কাঁকন, সাফায়েত সিফাত, আরাফাত রাফি, আসমা আক্তার মুক্তা, আশহাদুজ্জামান শাহেদ, সায়মা বিনতে রোকেয়া প্রমুখ।

বুক রিভিও প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য লেখকদের লিখিত কোনো বই নিয়ে ৫ মিনিটের নির্ধারিত সময়ে পর্যালোচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, আহমদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, বিদেশী লেখক খালেদ হোসাইনি, চিনুয়া আচেবে প্রমুখ লেখকের রচিত গ্রন্থ ছিলো প্রতিযোগীদের পছন্দে।

প্রতিযোগিতার বিচারক ও অতিথি অধ্যাপক ড. আহমেদ মাওলা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে নতুন চিন্তা, উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করবে-এমন ক্যাম্পাস আমরা চাই। সবকিছুতে আমরা ভুল মানুষের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা মূল মানুষকে ভুলে যাই। বই আমাদের সেইদিকে ফিরিয়ে নেয়।’

অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘বই পর্যালোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো বই বা লেখক সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করা যাতে অন্যদেরও সেটি সম্পর্কে আগ্রহী করে। এই প্রতিযোগিতা সেই বোধটুকু ধারণ করেছে।’

প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে ফারিদ মুস্তাকিম (নৃবিজ্ঞান, নবম), সাবরিনা আলম (ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, দ্বাদশ) ও তাইয়্যেবুন নাহার মিমি (বাংলা, নবম)। বিজয়ীদের হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি শতাব্দী জুবায়ের বলেন, ‘মননবিকাশে জন্য বই পড়া দরকার। বিশ্ববিদালয় শিক্ষার্থীদের বই পড়তে আরো আগ্রহী করতেই আমাদের এ আয়োজন। আমরা সকলের সহযোগিতায় এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।’