কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই হরকাত প্রতিষ্ঠা করেছে: এম এ আউয়াল

1030
এম এ আউয়াল এমপি

এখন রিপোর্ট:

কওমি মাদ্রাসায় কোনও জঙ্গি নেই-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। দলটির মহাসচিব এম এ আউয়াল বলেছেন, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুলে গেছেন, আফগানিস্থান ফেরত কওমি মাদ্রাসার অনেক শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশে হরকাতুল জিহাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। মুফতি হান্নান, মাওলানা ফরিদ এরা কেউ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় এম এ আউয়াল নর্থ সাউথ, চট্টগ্রামের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারের নজরদারী বাড়ানোর আহ্বান জানান।

এম এ আউয়াল বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জঙ্গিবাদের গোঁড়া ধরতে ভুল করেছেন। মুফতি শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি জঙ্গিবাদের অভিযোগ ছিল। চট্টগ্রামের মুফতি ইজহার, তার ছেলে হারুন ইজহার, সিলেটের কাজিরবাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বুলবুলি হুজুরও আফগানিস্থানে ‘জেহাদ’ করে এসেছেন। আমরা জানতে চাই, তাদের অবস্থান এখন কোথায়? তাদের ২৪ ঘন্টার খোঁজখবর কি রাষ্ট্রের কাছে আছে?

পিস স্কুল প্রসঙ্গে আউয়াল বলেন, গোয়েন্দাসংস্থাগুলো পিস স্কুল নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সংবাদ আমরা পড়েছি। কিন্তু অদ্যাবধি কোনও ব্যবস্থা গৃহিত হয়নি। এসব লক্ষ্মণ শুভ নয়, যদি এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়। পিস টিভি বন্ধ হলেও ইন্টারনেট, তার আদর্শের বইপত্র নজরদারীতে আনতে হবে।

গুলশান ও সোলাকিয়া হামলার প্রসঙ্গে আউয়াল বলেন, এই জঙ্গিবাদ কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়। একটি বৈশ্বিকসমস্যার চেহারা পেয়েছে। এই জঙ্গিবাদের পেছনে বিদেশের বা দেশের যেসমস্ত গোষ্ঠীগুলো জড়িত, সেগুলো ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা’র লড়াইয়ের কথা বললেও আদতে সেটি নয়।

লিখিত বক্তব্যে আউয়াল বলেন, তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে আমাদের দেশে অনেক বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকরা প্রবেশ করেন। তাদের কি জবাবদিহীতার মধ্যে আনা হয়? স্পর্শকাতরতার ভয় দেখিয়ে, জুজু তৈরি করে দিনের পর দিন রাষ্ট্রকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এখন সময় এসেছে জনগণের সামনে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম প্রকাশ করার। শুধুমাত্র ধর্মীয় স্পর্শকাতরতাকে কাজে লাগিয়ে বহু প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়্যদ নজিবুল বসর মাইজভা-ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তরিকত ফেডারেশন এসব কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করে।

 

এখন/