উপমন্ত্রীর মর্যাদা চান বিরোধীদলীয় হুইপ তাজুল

1060

এখন রিপোর্ট।।

উপ-মন্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

চিঠিতে নিজের দপ্তরের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা আপ্যায়ন ভাতাও দাবি করেছেন কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য।

নিয়ম অনুযায়ী সংসদের প্রধান হুইপ (সরকারি দলের) মন্ত্রী এবং অন্যান্য হুইপরা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেন। বিরোধীদলের হুইপরা এ সুবিধা পান না।

সরকারদলীয় হুইপদের অনুমোদন রাষ্ট্রপতি দেন; অন্যদিকে বিরোধীদলের হুইপ নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে।স্পিকারকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

ছয় বছর আগে সংসদ সচিবালয় কমিশনের ২০ তম বৈঠকে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপের পদটিকে উপমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বৈঠকে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপের অফিসের জন্য একজন একান্ত সচিব, একজন ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দিতে স্পিকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়।

তবে সংসদ সচিবালয়ের কাঠামোতে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের অফিসে জনবল অনুমোদন না থাকায় এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে ২০তম ওই বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি লিখেন, “… সিদ্ধান্ত হওয়া সত্বেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমাতবস্থায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের পদ উপ-মন্ত্রীর মর্যাদার সমমানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রস্তাব করছি।”

চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিরোধীদলীয় এ হুইপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিঠি দিয়েছি। এবারের কমিশন বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত তো হল না। দেখা যাক সামনে কী হয়।

“আমিতো আর নিজের জন্য পদ চাইছি না। এটা হলে পরবর্তীতে যে দলই বিরোধী দলে যাক না কেন, তারা সুবিধা পাবে”, বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি।

চিঠিতে স্পিকারের কাছে নিজের দপ্তরের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা আপ্যায়ন ভাতা বরাদ্দ চেয়েছেন বলেও জানান তাজুল।

বিধান মোতাবেক, সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা মাসে আট হাজার টাকা করে আপ্যায়ন ভাতা পান। অন্যদিকে সরকারি দলের প্রধান হুইপ ও হুইপরা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা অনুযায়ী আপ্যায়ন ভাতা পেয়ে থাকেন।

সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কমিশন বৈঠকেই সংসদের বিভিন্ন প্রকল্প, জনবল নিয়োগ, ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বিষয় অনুমোদন নেওয়া হয়।

নবম ও অষ্টম সংসদের বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপরা বিরোধী দলীয় নেতার অফিসের আপ্যায়ন ভাতা থেকে বরাদ্দ নিতেন বলে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিরোধীদলীয় হুইপরা কী ধরনের মর্যাদা পায় তা জানার চেষ্টা চলছে।

“২৫তম বৈঠকে সেগুলো পর্যালোচনা করে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এখন/এসএস