আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে শেষ আটে ফ্রান্স

841

গোল পাল্টা গোলে দারুণ উত্তেজনা ছড়াল রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচ। তবে সব পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। তার জোড়া লক্ষ্যভেদে ৪-৩ গোলে জিতে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করেছে ফ্রান্স।

শুরু থেকে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে ফ্রান্স। ৯ মিনিটে প্রথম ‍সুযোগ পেয়েছিল তারা। আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের দুর্দান্ত ফ্রি কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি গোলবারে বল আঘাত করলে। ২ মিনিট পর মার্কোস রোহোর অযথা ফাউলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ফ্রান্স। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয়সূচক গোল করা এই ডিফেন্ডার নিজেদের ডিবক্সে ফাউল করেন কিলিয়ান এমবাপেকে। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হয়নি রেফারিকে। ১৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন গ্রিয়েজমান।

ওই ফাউলের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আবার বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রান্সকে ফ্রি কিক দেয় আর্জেন্টিনা। ১৯ মিনিটে এমবাপেকে ডিবক্সের ঠিক বাইরে ফেলে দেন তাগলিয়াফিকো। পগবা অবশ্য লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ফ্রি কিক থেকে।

২৮ মিনিটে একটু সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফরাসি রক্ষণে বাধা পায় তাদের চেষ্টা। পাভনের পাসে ডানপ্রান্তে বল পেলে ডিবক্সের মধ্যে থেকে বল গোলমুখের সামনে দেন মেরকাদো। বল উমতিতির হাতে লাগলে এই ফুলব্যাকের পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।

Argentinaআর্জেন্টিনাকে হতাশ করে আরেকবার জালে ঢুকল বল

তবে বিরতির ৪ মিনিট আগে চমৎকার এক গোলে আর্জেন্টিনাকে সমতা ফেরান আনহেল দি মারিয়া। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে ওয়ান-টু পাসে এভার বানেগার দারুণ ক্রসে বল পায়ে পান তিনি। ৩৫ গজ ‍দূর থেকে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে বক্সের বাইরে থেকে গোল খায় ফ্রান্স। ১-১ এ বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল উদযাপন করে আর্জেন্টিনা। এভার বানেগার ফ্রি কিক থেকে ৪৮ মিনিটে ব্যাকপোস্ট থেকে লিওনেল মেসির শক্তিশালী শট মেরকাদোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ২-১ গোলের লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

৫৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে লুকাস হার্নান্দেসের ক্রস ডিবক্সের মধ্যে নিতে পারেননি ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা, বক্সের ঠিক বাইরে সেটা পান বেনজামিন পাভার্ড। প্রথম শটেই তার হাফভলি জালে জড়ায় কোনাকুনি শটে। ৬৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিবক্সের মধ্যে এলোমেলো রক্ষণভাগের সুযোগে বল পান এমবাপে। বাঁ দিক দিয়ে একটু সামনে এগিয়ে কোনাকুনি শটে আরমানিকে পরাস্ত করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন তিনি। পিএসজি স্ট্রাইকার তিন মিনিট পরই পান নিজের দ্বিতীয় গোল। পল পগবা ও অলিভার জিরুদের সমন্বিত পাস থেকে ডিবক্সে দৌড়ে এসে ডান দিক থেকে ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে। ১৯৫৮ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ব্রাজিল লিজেন্ড পেলের পর প্রথম তরুণ হিসেবে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে দুই গোলের কৃতিত্ব গড়লেন তিনি।

ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে মেসির ক্রস থেকে সের্হিয়ো আগুয়েরো গোল করে ব্যবধান কমান। তবে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে ব্যর্থ হয় গত বিশ্বকাপের রানার্সআপরা।