আমার রাজনীতি হচ্ছে গরীব মানুষের পক্ষে থাকা —শামীম ওসমান

1008

ব্যাক্তিগতভাবে এবং লোকজন নিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তারপরও আমি কোন প্রতিউত্তর করিনি। আমি একটা কথাই বলেছি, আমার রাজনীতি হচ্ছে গরীব মানুষের পক্ষে থাকা। কারণ, আমার জননেত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা আমাকে শিখিয়েছেন যে, যতদিন বেঁচে আছো গরীব মানুষদের জন্য কাজ করো, যেদিন মরে যাবা মরে যাবা।

দশ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমার নেত্রী বলেছে, ষোল কোটি মানুষ খেয়ে বাঁচলে দশ লক্ষ মানুষও খেতে পাবে। তাহলে, আজকে পাঁচ হাজার হোক আর চার হাজার হোক আর এক হাজার হোক বা ১ জনই হোক না কেন। এক জন হকার যদি তার পুঁজি প্রত্যাহার করতে না পারে, তার বাড়িতে যদি আজকে খাবার না থাকে তাহলে এ লজ্জা কার? টাকার অভাবে তার ছেলেকে যদি সে স্কুলে পাঠাতে না পারে তাহলে এ লজ্জা কার? আমি মনে করি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এ লজ্জা আমাদের সবার।

গত ১৫ জানুয়ারি হকাররা একটা বিশাল সমাবেশ করেছে। আমি কিন্তু সেখানে এই চিন্তা করে যাই নাই যে, আমি সেখানে কিছু ঘোষণা দেব। আমি সেখানে গিয়েছিলাম শুধু অনুরোধ করতে। কিন্তু সেখানে যাওয়া মাত্রই আমার বাবার বয়সী বৃদ্ধলোকেরা, মহিলারা আমার পা জড়িয়ে ধরে আকুতি মিনতি করেছে, তারা বলেছে আমাদের বাঁচান, আমাদের ঘরে খাবার নাই। এই মানুষগুলোর সামনে যদি বিকল্প কোন পথ থাকত তাহলে তারা ২৫ দিন রাস্তায় থাকত না। তারা একটাই কথা বলেছে, আমাদেও পুজিটা অন্তত উঠাতে দেন। আমাদের তো দিন দিন সুদ বাড়ছে। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমি তখন অনুরোধ করেছি, ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছি যেন এর মধ্যে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর তা যদি না নেওয়া হয় তাহলে আমি কিন্তু হকারদের পক্ষে থাকব। কারণ, আমার রাজনীতি আমি গরীব মানুষের জন্য করি। এতে যদি আমাকে রাজনীতি করতে না দেওয়া হয় তাহলে আমি করব না! কিন্তু আমি গরীব মানুষের বিপক্ষে যাব না।

ivy-shamim osman

তারপর আমাকে প্রশাসন থেকে জানান হলো, উনি লোকজন নিয়ে প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করতে আসবেন। আমি হকারদেরকে বুঝালাম, উনি যা করেন তোমরা মেনে নিবা। তারপর উনি আসলেন। যে হকারদের কাছে ভোটের আগে বাবা ডেকে, মা ডেকে ভোট চাইলেন সেই হকারদের সাথে কথা বলতে উনি এখন আসলেন। এই পঁচিশ দিন কোথায় ছিলেন। তারপর তিনি যখন আসলেন, লোকজন নিয়ে আসলেন। তার মধ্যে সুফিয়ান নামের এক ব্যক্তি হকারদের সাথে কথা বলতে পিস্তল নিয়ে আসলেন? এই সুমন এবং সুফিয়ান দু’জনই বিএনপি ক্যাডার।

হকার বনাম আইভি ঝামেলাটিকে কেউ কেউ শামীম বনাম আইভি বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আসলো প্রেসক্লাবের সভাপতিকে নিয়ে এবং পাট সমিতির সামনে হকারদেরকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দিল। নিয়াজুলকে বলা হলো শামীম ওসমানের কর্মী। হ্যাঁ সে আমাদের কর্মী ছিল।নিয়াজুলকে প্রথমে দশ মিনিট ধরে মারা হয়েছে, ৩ দফায় নিয়াজুলের উপর হামলা করা হয়েছে, তারপর নিয়াজুল তার লাইসেন্স করা পিস্তল বের করতে বাধ্য হয়েছে।

[নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। স্থানীয় রাইফেলস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনকালে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন]