আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

962

গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা-অভিনেতা আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার ব্যয়ভার নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান।

সোহেল আরমান বলেন, “‘পত্রপত্রিকায় বাবার অসুস্থতার খবর পড়ে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর আমাদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমজাদ হোসেন দেশের গর্ব, তার চিকিৎসার খরচ রাষ্ট্র বহন করবে। দেশে হোক আর বিদেশে হোক, তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’ এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই বাবার চিকিৎসার সব কাগজপত্র দেখে তার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

টেলিভিশন পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পত্রিকায় খবর দেখে আমজাদ স্যারের পরিবারের সদস্যদের ডেকেছিলেন। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে গণভবনে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমজাদ স্যারের অসুস্থতার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। সবকিছু শোনার পর তিনি জানান, চিকিৎসার বিষয়ে যা যা করণীয় তার সবকিছুই তিনি করবেন। খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে পুরো বিষয়টি তিনি দেখছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি! কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো দপ্তর থেকে হাসপাতালে একটি টিম আসবে। তারপরই আমজাদ স্যারের পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

গত রোববার ভোরে স্ট্রোক করেন আমজাদ হোসেন। তারপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নগরীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইমপালস হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন তিনি।

বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার।

এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ সিনেমা নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান আমজাদ হোসেন। ১৯৭৬ সালে ‘নয়নমনি’ সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তারপর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘ভাত দে’, ‘জয়যাত্রা’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন আমজাদ হোসেন।