আপনারা যত ইচ্ছা সাজা দেন: খালেদা জিয়া

944

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার রাজধানীর নাজিমুদ্দিন সড়কের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। তবে আদালতে খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “এখানে ন্যায়বিচার নেই। যা ইচ্ছে তাই সাজা দিতে পারেন। যত ইচ্ছে সাজা দিতে পারেন।”

খালেদা নিজেকে অসুস্থ উল্লেখ করে বলেন, “আমি বারবার আদালতে আসতে পারব না। আর এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। আমার সিনিয়র কোনো আইনজীবী আসেনি, এটা জানলে আমি আসতাম না।”

এদিন বেলা ১১টার দিকে আদালতের বিচারক ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আদালতে আসেন। মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ছিল এদিন।

খালেদা জিয়াকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইলচেয়ার বসিয়ে তাকে আনা হয়। পরনে ছিল বেগুনি রঙের শাড়ি। চেয়ারে বসা অবস্থায় তার পায়ের ওপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল।

এদিন আদালতে এসেছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফা খান। বিএনপিপন্থি এই আইনজীবী আদালতে খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী দেখতে না পেয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, “আমি এখানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে এসেছি। খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনাকারী কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী কারাগারে আদালত বসবেন—এ ধরনের প্রজ্ঞাপন গত রাতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবীর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এটা যথাযথভাবে আসামিপক্ষকে জানানো হয়নি।”

তাই আদালতকে সার্বিক বিবেচনায় নতুন তারিখ ধার্য করতে অনুরোধ জানান তিনি।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, “প্রজ্ঞাপনটি যথাযথভাবে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আর অন্য আইনজীবীদের ব্যক্তিগতভাবে আজকের শুনানির বিষয়ে জানানো হয়েছে। এমনকি বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন অস্থায়ী আদালত যেখানে বসত সেখানেও তা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।”

শুনানি শেষে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামিদের জামিন ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রেখে সেই দুদিন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।