আজও ফাঁকা রাজধানী

796

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও সব সড়ক প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। দুয়েকটি গাড়ি চলছে সড়কে। সেগুলোতে অনেক ঠেলাঠেলি করে অফিসগামীদের উঠতে হচ্ছে চরম ভোগান্তির মধ্যে।

মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো সড়কে প্রায় দেখাই যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেখা যায়, রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ প্রায় ফাঁকা। কয়েকটি বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় অত্যন্ত সামান্য।

মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী এক যাত্রী বলেন, সকাল ৯টার মধ্যে তাঁকে অফিসে পৌঁছাতে হবে। তিনি মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু কোনো বাস মিরপুর থেকে ছেড়ে যেতে দেখেননি তিনি।

এমন হাজারো মানুষ সড়কে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, গণমাধ্যম, শপিংমল ইত্যাদি খোলা রয়েছে। ফলে অফিসগামী মানুষের ঢল নেমেছে সড়কে।

গত রবিবার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্রছাত্রী নিহত হন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। বুধবার চতুর্থ দিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সারা দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার রাতে মৌখিক নির্দেশনায় এই বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান গত রাতে কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সচিব মহোদয় আমাদের এক দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কাল (আজ বৃহস্পতিবার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’