অর্থমন্ত্রী নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বলে ঠিক করেননি: সিইসি

644

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ বলে অর্থমন্ত্রী ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ওনাকে (অর্থমন্ত্রী) এ বিষয়ে বলিনি, ওনার বলা উচিত হয়নি। তিনি তারিখ উল্লেখ করে বলেছেন। মন্ত্রীর এটা বলা ঠিক হয়নি। তিনি ভুল করেছেন। আমি মিডিয়ার সামনেই বলছি, এটা বলাটা ঠিক হয়নি।”

বৃহস্পতিবার বিকেলে হোটেল রেডিসনে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের নির্বাচন কমিশনের সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) সম্মেলনের সমাপনী দিনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে জানতে সিইসিকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

সিইসির সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেমবোসার চেয়ারম্যান আফগানিস্তান নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান গুলাজান আবদুল বাদি সায়েদ।

এছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাখাওয়াত হোসাইন চৌধুরী, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, “আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ফেমবোসা সম্মেলনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আগামী সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে ভুটানে।”

ঢাকা সম্মেলনে ৯টা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জানিয়ে নুরুল হুদা বলেন, “এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা, ভোটার রেজিস্ট্রেশনের উন্নয়নসহ মোট ৯টি বিষয়। আফগানিস্তান বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড, ইভিএম পদ্ধতি, স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার, ভোটর তালিকা রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি বিষয়েও তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”

এসময় গুলাজান আবদুল বাদি সায়েদ বলেন, “ফেমবোসার লক্ষ্যই হচ্ছে কো-অপারেশন ও কো-অর্ডিনেশন। আমরা কন্ট্রিবিউট করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ফেমবোসার মাধ্যমে একে অপরকে সহায়তার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আমরা আরও উন্নত করতে পারবো বলে আশা করি।”

বুধবার দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

২০১০ সালে বাংলাদেশের উদ্যোগে ফেমবোসা যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণানাক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে দু’দিনব্যাপী ৯ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।