টানা দুই দিন বৃষ্টির পর অবশেষে তৃতীয় দিনে শুরু হয়েছে ব্যাট বলের লড়াই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলের চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক।বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু সুইং সামাল দিতে না পাড়ায় ব্যাটিং ধসে দুই সেশনেই শেষ হলো ইনিংস।
আশা জাগানো শুরুর পর বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২১১ রানে।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১১৯। লাঞ্চের সময় রান ছিল ৩ উইকেটে ১২৭। দ্বিতীয় সেশনেই হারাতে হয়েছে ৭ উইকেট।
ওয়েগানার শর্ট বলের ছোবলে নিয়েছেন চার উইকেট। প্রথম স্পেলে বিবর্ণ বোল্ট পরে তিন ওভারে তিন উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইনিংস।
দলে উল্লেখ করার মত একমাত্র তামিমই খেলেছেন ১০ চারে ১১৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়ের শুরুতেও বাংলাদেশ ছিল দারুন। সহায়ক উইকেটে নতুন বলের ব্যবহারে উপযুক্ত ব্যবহারে আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেন ছাপিয়ে যান বোল্ট-সাউদিকে। বাংলাদেশের দুই পেসারই ছিলেন অসাধারণ।
নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনারকেই ফেরান আবু জায়েদ। দুই পেসারের প্রথম ৮ ওভার শেষে কিউইদের রান ছিল ৮। ৪ ওভারে ৩ রান দিয়েছিলেন ইবাদত, ৪ ওভারে ৫ আবু জায়েদ।
জমে উঠা খেলায় আবার বৃষ্টির হানা। ২৫.২ ওভার আগেই শেষ হয় দিনের খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ২১১ (তামিম ৭৪, সাদমান ২৭, মুমিনুল ১৫, মিঠুন ৩, সৌম্য ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ৮, মুস্তাফিজ ০, আবু জায়েদ ৪, ইবাদত ০*; বোল্ট ১১-৩-৩৮-৩, সাউদি ১৫-২-৫২-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৭-০-১৫-১, হেনরি ১৫-০-৬৭-১, ওয়েগনার ১৩-৪-২৮-৪)।
নিউ জিল্যান্ড: ১১.২ ওভারে ৩৮/২ (রাভাল ৩, ল্যাথাম ৪, উইলিয়ামসন ১০*, টেইলর ১৯*; আবু জায়েদ ৬-২-১৮-২, ইবাদত, ৫.৪-২-১৮-০)।