অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ রিসার্চ ফেলোশিপ -এর দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধন

1438
ছবি: সুলতানা রাজিয়া

তরুণদের মধ্যে স্টার্ট-আপ শুরু করা কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে দিনদিন। উদ্যোক্তাদের অনেকেই প্রবল আবেগে এ পথে যাত্রা শুরু করলেও ছিটকে পড়ছে কেউ কেউ। ঠিক কতো ভাগ উদ্যোক্তা সফল হয়েছে এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নানা বাধা উৎরাই করে অনেকেই পারছে না কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। ফলে একটি শুধু যে একটা সম্ভাবনাময় উদ্যোগের মৃত্যু হয় তাই-ই নয়, সৃষ্টি হয় হতাশার। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেই উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে জাংশন ভেঞ্চার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ‘অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ রিসার্চ ফেলোশিপ’-এর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।

৩১ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ফেলোশিপের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধন হয়। পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে গতবছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের ৭টি গবেষণার পর্বেরও ফলাফল উন্মোচন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি
অধ্যাপক ড. জি. ইউ. আহসান, জাংশন বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ড. অনন্য রায়হান, চেয়ারপারসন, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট এডভাইজর টিনা জাবিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, ইমএমকে সেন্টারের পরিচালক এম. কে. আরেফ প্রমুখ।

দুই পর্বের এই রিসার্চ ফেলোশিপের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করছে এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার। সার্বিক আয়োজন করেছে জাংশন বাংলাদেশ। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ, আইসিটি ডিভিশন ও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

জাংশন বাংলাদেশ জানায়, দুই পর্বের এই গবেষণায় প্রত্যেক পর্বে মোট চারটি করে আটটি দলকে ফেলোশিপ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক দলে ছিল তিনজন করে সদস্য। যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক দলে একজন শিক্ষক, একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী অথবা সেক্টর ভিত্তিক অভিজ্ঞ পেশাদার দলের সমন্বয়। নারী ক্ষমতায়ন ও সুষম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলে একজন নারী অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। প্রথম পর্বে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ডজনখানেক দলের মধ্য থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচারক প্যানেল চারটি দলকে চূড়ান্তভাবে ফেলোশিপের জন্যে মনোনীত করেন।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত চারটি দল যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে সেগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট প্র্যাক্টিসেস, স্টার্ট-আপ ইনভেস্টমেন্ট সিনারিও, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম, সেক্টোরিয়াল স্টাডি ইন ইনোভেশনস এন্ড অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ, এবং সাকসেস অ্যান্ড ফেইলর অব অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ ইকোসিস্টেম।

একইভাবে দ্বিতীয় পর্বে আরও চারটি দলকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস প্র্যাক্টিসেস, টেকনোলজি অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ, ল’ এন্ড পলিসি অন স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম, রুরাল অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ, উইমেন অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ, অন্ট্রোপ্রিনিয়রশিপ এডুকেশন অ্যান্ড প্র্যাক্টিসের প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্যে মনোনিত করা হয়। প্রত্যেক দলকে চার মাসব্যাপী এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পুরষ্কার দেয়া হয়েছে। যার অর্ধেক অর্থ ফেলোশিপের জন্যে মনোনীত হওয়ার পর, এবং বাকি অর্ধেক দেয়া হচ্ছে গবেষণাপত্র জমা দেয়ার পর।

এই ফেলোশিপ কার্যক্রম এর রিভিউ বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হলেন ঢাকা মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, ইউল্যাবের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ইমরান রহমান, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সারওয়ার উদ্দিন আহমেদ, প্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান, বেটার স্টোরিজের মিনহাজ আনোয়ার, গাজী লিগ্যাল সার্কেলের ব্যারিস্টার আনিতা গাজী, বৃটিশ কাউন্সিলের এডুকেশন ম্যানেজার এস এম কামরুদ্দিন রুপম, ডিনেটের হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্ট তাহসিন ইফনুর সাইদ, লিগ্যাল সার্কেলের জারিফ আহমেদ, এমসিসি লিমিটেডের সিইও আসিফ আবির, তরুর প্রতিষ্ঠাতা সাইফ কামাল, ফাউন্ডার। রিভিউ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।